কখনো গাইনি ডাক্তার আছে তো অ্যানেস্থেসিয়া নেই। আবার অ্যানেস্থেসিয়া আছে তো গাইনি ডাক্তার নেই। আর এই দুইয়ের সমন্বয়ের অভাবে দীর্ঘ এক যুগ কোনো সিজার হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছর পর বৃহস্পতিবার আবার নতুন করে সিজার শুরু হয়েছে হাসপাতালটিতে। এদিন দুপুর ১২টার সময় প্রথম সিজারের মাধ্যমে পৃথিবীর আলো দেখে এক শিশু।
এদিন নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রামের আব্বাস মিয়ার স্ত্রী দিলওয়ারা বেগমকে (২২) সিজার করা হয়। জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান।
নানা জটিলতার কারণে প্রায় এক যুগ এ হাসপাতালে সিজার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সিজারটি সম্পন্ন করেন ডা. নাফিসা জাফরিন।
সিজারিয়ানের স্বামী আব্বাস মিয়া আনন্দের সুরে বলেন, সরকারি হাসপাতালে সিজার করায় অর্থ ও সময় অপচয় হয়নি। মা ও বাচ্চা সুস্থ আছেন।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, আমাদের এখানে ডাক্তারের সংকটের কারণে প্রায় এক যুগ ধরে সিজার বন্ধ ছিল। এখন আবার সেটি চালু হলো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।